০১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

দুটি দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পে বন্যাদুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবায় এইচএসএফ

  • আপডেট: ০৬:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 28

ছবি: সংগৃহীত

ফেনী জেলা সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে, যার ফলে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। পানি নেমে যাওয়ার পর, বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নানা পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব রোগীদের সাহায্য করার জন্য ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার গুনক গ্রামে হিউম্যান সেফটি ফাউন্ডেশন (এইচএসএফ) দুটি দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে।

এইচএসএফের মেডিকেল ক্যাম্পে নানা বয়সী নারী, শিশু ও পুরুষরা বিনামূল্যে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী, তাদের বিনামূল্যে ওষুধও প্রদান করা হয়েছে। দুইদিনের এই ক্যাম্পে মোট ৭৪৬ জন রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বন্যার পর ফেনী জেলার ৭০-৮০ ভাগ মানুষ চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন, যা অত্যন্ত সংক্রামক। রোগের বিস্তার দেখে মনে হচ্ছে, একজন আক্রান্ত হলে সেই পরিবারের অন্য সদস্যরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ পানি থাকায় এবং পানি কমে যাওয়ার পরও চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। বন্যার পর নানা জায়গায় জমে থাকা পানি ব্যবহারের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়ে গেছে।

এইচএসএফের চেয়ারম্যান এম এ মুকিত জানিয়েছেন, মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে এবং চর্মরোগ থেকে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শও প্রদান করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

দুটি দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পে বন্যাদুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবায় এইচএসএফ

আপডেট: ০৬:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেনী জেলা সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে, যার ফলে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। পানি নেমে যাওয়ার পর, বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নানা পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব রোগীদের সাহায্য করার জন্য ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার গুনক গ্রামে হিউম্যান সেফটি ফাউন্ডেশন (এইচএসএফ) দুটি দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে।

এইচএসএফের মেডিকেল ক্যাম্পে নানা বয়সী নারী, শিশু ও পুরুষরা বিনামূল্যে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী, তাদের বিনামূল্যে ওষুধও প্রদান করা হয়েছে। দুইদিনের এই ক্যাম্পে মোট ৭৪৬ জন রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বন্যার পর ফেনী জেলার ৭০-৮০ ভাগ মানুষ চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন, যা অত্যন্ত সংক্রামক। রোগের বিস্তার দেখে মনে হচ্ছে, একজন আক্রান্ত হলে সেই পরিবারের অন্য সদস্যরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ পানি থাকায় এবং পানি কমে যাওয়ার পরও চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। বন্যার পর নানা জায়গায় জমে থাকা পানি ব্যবহারের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়ে গেছে।

এইচএসএফের চেয়ারম্যান এম এ মুকিত জানিয়েছেন, মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে এবং চর্মরোগ থেকে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শও প্রদান করা হয়েছে।