১০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আনার হত্যা মামলার তদন্ত শেষে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট: ১২:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • 33

সংগৃহীত ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনার হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়েছে। একটি ভারতে, আরেকটি তার মেয়ে ঢাকায় করেছেন। মূল আসামি শাহিনের নিরুদ্দেশ হওয়ার পরেই মামলাটি হয়েছে। কাজেই এ ঘটনায় দু’দেশই সম্পৃক্ত হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি আছে, বাংলাদেশের সঙ্গে নেই। সে ক্ষেত্রে শাহিনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনার বিষয়ে ভারত সুবিধা পেতে পারে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের সব কাজেই ভারত সহযোগিতা করছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সত্যের খুব কাছাকাছি এসে গেছি। মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারব। যে হাড়মাংস উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষা করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে, সোমবার (১০ জুন) সকালে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো মানুষের বলে জানিয়েছে কলকাতার ফরেনসিক বিভাগ। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাংসগুলো এমপি আনারের কি না।

এর আগে, গত ২৮ মে সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। তবে সেটি এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস নাকি কোনো প্রাণীর তা তখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অন্যদিকেম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকে নিয়ে রোববার (৯ জুন) সকালে কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায় সিআইডি। তল্লাশির পর একটি ঝোপের পাশ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। তবে সেগুলো আনারের কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিশ্চিত করতে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

অভিযোগ রয়েছে, গত ১৩ মে সঞ্জীভা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

আনার হত্যা মামলার তদন্ত শেষে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ১২:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনার হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়েছে। একটি ভারতে, আরেকটি তার মেয়ে ঢাকায় করেছেন। মূল আসামি শাহিনের নিরুদ্দেশ হওয়ার পরেই মামলাটি হয়েছে। কাজেই এ ঘটনায় দু’দেশই সম্পৃক্ত হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি আছে, বাংলাদেশের সঙ্গে নেই। সে ক্ষেত্রে শাহিনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনার বিষয়ে ভারত সুবিধা পেতে পারে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের সব কাজেই ভারত সহযোগিতা করছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সত্যের খুব কাছাকাছি এসে গেছি। মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারব। যে হাড়মাংস উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষা করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে, সোমবার (১০ জুন) সকালে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো মানুষের বলে জানিয়েছে কলকাতার ফরেনসিক বিভাগ। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাংসগুলো এমপি আনারের কি না।

এর আগে, গত ২৮ মে সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। তবে সেটি এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস নাকি কোনো প্রাণীর তা তখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অন্যদিকেম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকে নিয়ে রোববার (৯ জুন) সকালে কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায় সিআইডি। তল্লাশির পর একটি ঝোপের পাশ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। তবে সেগুলো আনারের কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিশ্চিত করতে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

অভিযোগ রয়েছে, গত ১৩ মে সঞ্জীভা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়।