০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নাকচ করে দিলেন বাইডেনের প্রস্তাব।

  • আপডেট: ০১:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • 33

জো বাইডেন ও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শুক্রবার (৩১ মে) একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এই প্রস্তাবকে পাত্তা না দিয়েই নাকচ করে দিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

প্রস্তাবে বাইডেন বলেছেন, প্রথমে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে, এরপর ইসরাইলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে, গাজায় বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে, কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল, হামাস মুক্তি দেবে ইসরাইলি জিম্মিদের। যার মধ্যে থাকবে পুরুষ সেনারাও। এরপর গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। সবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সব ধরনের হামলা বন্ধ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। বাইডেন এটিকে ইসরায়েলের প্রস্তাব হিসেবেই অভিহিত করেছেন।

শনিবার (১ জুন) নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসরাইলের যে শর্ত রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হয়নি; হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা গাজা আবারও ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।’

নেতানিয়াহু বলেন, ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরাইল তার শর্তে অটল থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে এমন ধারণা বাস্তব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

এদিকে বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এতে ইতিবাচক। এছাড়া, ইসরাইলের বিরোধী দলগুলোও এতে সমর্থন জানিয়েছেন। হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই শর্ত কার্যকর করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।

সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নাকচ করে দিলেন বাইডেনের প্রস্তাব।

আপডেট: ০১:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শুক্রবার (৩১ মে) একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এই প্রস্তাবকে পাত্তা না দিয়েই নাকচ করে দিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

প্রস্তাবে বাইডেন বলেছেন, প্রথমে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে, এরপর ইসরাইলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে, গাজায় বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে, কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল, হামাস মুক্তি দেবে ইসরাইলি জিম্মিদের। যার মধ্যে থাকবে পুরুষ সেনারাও। এরপর গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। সবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সব ধরনের হামলা বন্ধ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। বাইডেন এটিকে ইসরায়েলের প্রস্তাব হিসেবেই অভিহিত করেছেন।

শনিবার (১ জুন) নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসরাইলের যে শর্ত রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হয়নি; হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা গাজা আবারও ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।’

নেতানিয়াহু বলেন, ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরাইল তার শর্তে অটল থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে এমন ধারণা বাস্তব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

এদিকে বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এতে ইতিবাচক। এছাড়া, ইসরাইলের বিরোধী দলগুলোও এতে সমর্থন জানিয়েছেন। হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই শর্ত কার্যকর করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।

সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল।