‘ব্যবসার পরিস্থিতি’ শিরোনামে একটি গান করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন আলি হাসান। এরপর বেশ কয়েকটি গান গেয়ে খুব অল্প সময়েই পারচিতি লাভ করেন তিনি। সম্প্রতি গানকে হারাম দাবি করে আলোচনায় এসেছেন এই গায়ক।
একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে এমন মন্তব্য করেন আলি। এবার হালাল-হারাম বিতর্কে মুখ খুলেছেন তিনি। এই গায়ক বলেন, ‘গান-বাজনার টাকা হারাম। এত হাদিস চলবে না। যেটা হারাম, হারামই। আমার অটোব্যবসার টাকা হালাল। সংগীত থেকে আয় হচ্ছে হারাম।
গান নিয়ে এমন বন্তব্যের পরেই নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন আলি। তার সেই বক্তব্যের ক্লিপস এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। বিষয়টি নজরে এসেছে এই গায়কেরও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি শুনেছি, আমার বক্তব্যে নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। আসলে গান কখনোই আমার ক্যারিয়ারের প্রধান লক্ষ্য ছিল না। আমি অটোর ব্যবসা করি, সারাদিন নিজের ব্যবসা, গ্যারেজ এগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকি। আগামীতে ব্যবসায়ই পুরোপুরো সময় দেব।
সমালোচনার বিষয়ে আলি আরও বলেন, অনেকেই ট্রল করছে। এসব নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। মানুষ মাত্রই ভুল আর আমার কথায়, আচরণে, চলাফেরায় ভুল হতেই পারে। হয়তো আমার মনের কথাগুলো সেভাবে গুছিয়ে বলতে পারিনি। হালাল খাই, হারামে থাকি— বিষয়টি এমন না। দুটি মিলিয়েই চলছি। আর এটাকে (গান) আমি কাজ হিসেবেই দেখছি। অনেকে বুঝেছে আবার অনেকে বুঝেনি। তবে আমার আয়ের পথটা ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
গান ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমার ধার্মিক মা-বাবা, স্ত্রী সবাই ধার্মিক। সবাই নামাজ-কালাম নিয়ে আছেন। আমার স্ত্রী মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তি করেছি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গানবাজনা ছেড়ে দেব।
আলির দাবি, তার বক্তব্য অনেকে বুঝতে পারেননি। গায়কের ভাষ্য, আসলে আমি বলতে চেয়েছি, গানে যে বাদ্য-বাজনা ব্যবহার হয়, সেটা আমাদের ধর্মে হারাম। সেই কাজগুলো ছেড়ে দিতে চাই। পুরো ইন্টারভিউটা দেখলে আপনার হয়তো আমার মনের কথাটা বুঝতে পারবেন। ছোট একটি ক্লিপস দেখে, কাউকে বিচার করবেন না। যদি আমার অসৎ উদ্দেশ থাকত, তাহলে এ বিষয়ে কথা বলতাম না।
গান-বাজনা ছেড়ে দিলেও মিডিয়ায় থাকবেন জানিয়ে এই গায়ক বলেন, গান ছেড়ে দিলেও মিডিয়ায় থাকব। ভবিষ্যতে ইসলামী সংগীতের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছা আছে আমারর। এখন গান ও অটো ব্যবসা দুটো মিলিয়েই চলছি। ধীরে ধীরে গান থেকে সরে আসব।
বর্তমানে বেশ কটি গানের কাজ হাতে রয়েছে। সেগুলো শেষ করে গান ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আমার শেষ গানের শিরোনাম হবে ‘ইসলাম’। এটি তৈরি করার পর আর গান লিখব না। আর গান গাইলেও সেখানে থাকবে না কোনো বদ্যযন্ত্র।