০৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উরুগুয়ে

  • আপডেট: ০৪:০১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • 31

ফাউলের ছড়াছড়ি আর সমানতালে মারামারির প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করেছিলেন লাটিন ফুটবলের ভক্তরা। তবে এবারও আশাহত হয়েছেন তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের চিত্র না পাল্টালে আর কোনো দলই প্রত্যাশিত গোলের দেখা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে সেলেসাওদের আশা গুঁড়িয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠল উরুগুয়ে।

রোববার (৭ জুলাই) কোয়ার্টার-ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জেতে উরুগুয়ে।

লাস ভেগাসে প্রথমার্ধের শুরুতে সেভাবে আক্রমণে যেতে পারেনি সেলেসাওরা। অন্যদিকে ব্রাজিলের রক্ষণভাগকে বেশ চাপে রেখেছিল উরুগুয়ে।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে ডারইউন নুনেজের দুর্দান্ত এক হেড রুখে দেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডাররা। এক মিনিট ব্যবধানে ফের আক্রমণে আসে উরুগুয়ে। কর্নার থেকে নিকোলাস ডে লা ক্রুস শট মাথিয়াস ওলিভেরা মাথায় লেগে গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিল উরুগুয়ে। গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায় নুনেজের হেড।

সেখান থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বল নিয়ে একাই উরুগুয়ের রক্ষণভাগে ঢোকেন রাফিনহা। গোলকিপারকে পরাস্ত করে লক্ষ্যভেদ করতে না পারলেও কর্নার আদায় করে নেন বার্সেলোনোর এই ফরোয়ার্ড। তবে কর্নার কিক থেকেও আসেনি প্রত্যাশিত গোল।

ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে ফের আক্রমণে আসেন লা ক্রুস। উগার্তের অ্যাসিস্টে এবারও গোলবারের বাঁ-প্রান্ত দিয়ে মেরে বসেন।

ইনজুরি টাইমে ব্রাজিলও আক্রমণে এসেছিল। তবে গোলরক্ষক সার্জিও রচেটের দেয়াল ভাঙতে পারেননি রাফিনহা। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ‍ওঠে। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে ভালো সুযোগও পেয়েছিল উরুগুয়ে। কিন্তু ভালবার্দের দূরপাল্লার শট সহজেই প্রতিহত করেন অ্যালিসন বেকার।

এরপর ৫২তম মিনিটে দানিলোর গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় ডারউইন নুনেজের শট। ৬২তম মিনিটে ভালবার্দের দূরপাল্লার আরেকটি গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। রদ্রিগোকে পেছন থেকে পায়ে ট্যাকেল করে লাল-কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নান্দেজ।

সেই সুযোগে একের পর এক আক্রমণ চালায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে এন্ড্রিকের শট সহজেই তালুবন্দী করেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত। টানটান উত্তেজনা আর উত্তাপের ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।

ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে ব্রাজিলকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।

সেমিফাইনালে উরুগুয়ের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। আরেক কোয়ার্টারে পানামাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে তারা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উরুগুয়ে

আপডেট: ০৪:০১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

ফাউলের ছড়াছড়ি আর সমানতালে মারামারির প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করেছিলেন লাটিন ফুটবলের ভক্তরা। তবে এবারও আশাহত হয়েছেন তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের চিত্র না পাল্টালে আর কোনো দলই প্রত্যাশিত গোলের দেখা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে সেলেসাওদের আশা গুঁড়িয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠল উরুগুয়ে।

রোববার (৭ জুলাই) কোয়ার্টার-ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জেতে উরুগুয়ে।

লাস ভেগাসে প্রথমার্ধের শুরুতে সেভাবে আক্রমণে যেতে পারেনি সেলেসাওরা। অন্যদিকে ব্রাজিলের রক্ষণভাগকে বেশ চাপে রেখেছিল উরুগুয়ে।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে ডারইউন নুনেজের দুর্দান্ত এক হেড রুখে দেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডাররা। এক মিনিট ব্যবধানে ফের আক্রমণে আসে উরুগুয়ে। কর্নার থেকে নিকোলাস ডে লা ক্রুস শট মাথিয়াস ওলিভেরা মাথায় লেগে গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিল উরুগুয়ে। গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায় নুনেজের হেড।

সেখান থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বল নিয়ে একাই উরুগুয়ের রক্ষণভাগে ঢোকেন রাফিনহা। গোলকিপারকে পরাস্ত করে লক্ষ্যভেদ করতে না পারলেও কর্নার আদায় করে নেন বার্সেলোনোর এই ফরোয়ার্ড। তবে কর্নার কিক থেকেও আসেনি প্রত্যাশিত গোল।

ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে ফের আক্রমণে আসেন লা ক্রুস। উগার্তের অ্যাসিস্টে এবারও গোলবারের বাঁ-প্রান্ত দিয়ে মেরে বসেন।

ইনজুরি টাইমে ব্রাজিলও আক্রমণে এসেছিল। তবে গোলরক্ষক সার্জিও রচেটের দেয়াল ভাঙতে পারেননি রাফিনহা। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ‍ওঠে। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে ভালো সুযোগও পেয়েছিল উরুগুয়ে। কিন্তু ভালবার্দের দূরপাল্লার শট সহজেই প্রতিহত করেন অ্যালিসন বেকার।

এরপর ৫২তম মিনিটে দানিলোর গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় ডারউইন নুনেজের শট। ৬২তম মিনিটে ভালবার্দের দূরপাল্লার আরেকটি গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। রদ্রিগোকে পেছন থেকে পায়ে ট্যাকেল করে লাল-কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নান্দেজ।

সেই সুযোগে একের পর এক আক্রমণ চালায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে এন্ড্রিকের শট সহজেই তালুবন্দী করেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত। টানটান উত্তেজনা আর উত্তাপের ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।

ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে ব্রাজিলকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।

সেমিফাইনালে উরুগুয়ের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। আরেক কোয়ার্টারে পানামাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে তারা।