১০:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মজুরি বৃদ্ধিসহ ১৮ দফা দাবি পূরণের ঘোষণা কাজে ফিরেছে পোশাক শ্রমিকরা

  • আপডেট: ০৭:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 51

শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। তবে বেতন পরিশোধ করতে না পারাসহ অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে এখনও ১৭টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির মধ্যেই শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কর্মসংস্থলে যোগ দিয়েছেন।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মালিকপক্ষ মেনে নেওয়ার ঘোষণার পর বুধবার এই অঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলেছে। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের উভয়পাশে অবস্থিত বন্ধ প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানার অধিকাংশেই কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে ১৯টি কারখানায় গতকালও উৎপাদন বন্ধ ছিলো। এর মধ্যে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ১৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিলো।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডিইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। যদিও বকেয়া বেতনসহ আরও কিছু সমস্যার কারণে আজও ১৭ টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব কারখানাতেই উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ৯ টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আরও ৮টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে এসব কারখানা বন্ধ রয়েছে। যেমন এদের কেউ বেতন পরিশোধ করতে পারছে না, কারও অর্ডার নেই আবার শ্রমিকদের আন্দোলন। সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়া ৮টি কারখানার ৫টিতেই মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা হওয়া ৯টি কারখানার মধ্যে ২টি নন আরএমজি ফ্যাক্টরি। আর বাকীগুলোর মধ্যে ২টিতে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মজুরি বৃদ্ধিসহ ১৮ দফা দাবি পূরণের ঘোষণা কাজে ফিরেছে পোশাক শ্রমিকরা

আপডেট: ০৭:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। তবে বেতন পরিশোধ করতে না পারাসহ অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে এখনও ১৭টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির মধ্যেই শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কর্মসংস্থলে যোগ দিয়েছেন।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মালিকপক্ষ মেনে নেওয়ার ঘোষণার পর বুধবার এই অঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলেছে। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের উভয়পাশে অবস্থিত বন্ধ প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানার অধিকাংশেই কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে ১৯টি কারখানায় গতকালও উৎপাদন বন্ধ ছিলো। এর মধ্যে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ১৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিলো।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডিইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। যদিও বকেয়া বেতনসহ আরও কিছু সমস্যার কারণে আজও ১৭ টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব কারখানাতেই উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ৯ টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আরও ৮টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে এসব কারখানা বন্ধ রয়েছে। যেমন এদের কেউ বেতন পরিশোধ করতে পারছে না, কারও অর্ডার নেই আবার শ্রমিকদের আন্দোলন। সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়া ৮টি কারখানার ৫টিতেই মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা হওয়া ৯টি কারখানার মধ্যে ২টি নন আরএমজি ফ্যাক্টরি। আর বাকীগুলোর মধ্যে ২টিতে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না।