০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বপ্ন দেখলে যা করতে বলেছেন

  • আপডেট: ০৮:২৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 23

মানুষের স্বভাব হলো, তারা কোনো স্বপ্ন দেখলে প্রিয়জনের কাছে তা বলে বেড়ায়। আবার অনেকে অন্যদের খুশি করার জন্য বানিয়ে বানিয়ে স্বপ্ন বর্ণনা করে।

অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো, কোনো ব্যক্তি নিজেকে তার পিতা ছাড়া অন্যের সন্তান বলে দাবি করা। যে স্বপ্ন সে দেখেনি তা বর্ণনা করা। আর রাসুলুল্লাহ (সা.) যা বলেননি, তা তার সম্পর্কে বলে বেড়ানো। ’ (বুখারি, হাদিস : ৩৫০৯) তাই সবার কাছে স্বপ্নের কথা বলে দেওয়া উচিত নয়।
ভালো স্বপ্ন দেখলে করণীয় : যদি কেউ ভালো স্বপ্ন দেখে, তাহলে তিনটি কাজ করবে—

এক. আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলবে।

দুই. এটা অন্যকে সুসংবাদ হিসেবে জানাবে।

তিন. স্বপ্ন এমন ব্যক্তিকে বলবে, যে তাকে ভালোবাসে। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা তার ভালো লাগে, তাহলে সে বুঝে নেবে, এটা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। সে এ স্বপ্নের জন্য আল্লাহর প্রশংসা করবে আর অন্যকে এ ব্যাপারে জানাবে। আর যদি এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে না, তাহলে বুঝে নেবে, এটা শয়তানের পক্ষ থেকে।

তখন সে এ স্বপ্নের ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং বাঁদিকে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবে। আর কাউকে এ স্বপ্নের কথা বলবে না। মনে রাখবে, এ স্বপ্ন তার ক্ষতি করতে পারবে না। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

খারাপ স্বপ্ন দেখলে করণীয় : যদি কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখে, তাহলে ভয়ের কিছু নেই। ভয়ের স্বপ্নে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই।

কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে এ কাজগুলো করবে—

এক. এই স্বপ্নের ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়বে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)

এক্ষেত্রে এই দোয়াও পড়া যায়: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি হাজিহির রুইয়া। ’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই স্বপ্নের অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ চাই।

দুই. বাম দিকে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)

তিন. যে কাতে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছেন, তা পরিবর্তন করে অন্য কাতে শুতে হবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)। অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।

চার. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলবেন না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবেন না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

পাঁচ. স্বপ্ন দেখার পর ঘুম ভেঙে গেলে উঠে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩)

মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বপ্ন দেখলে যা করতে বলেছেন

আপডেট: ০৮:২৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মানুষের স্বভাব হলো, তারা কোনো স্বপ্ন দেখলে প্রিয়জনের কাছে তা বলে বেড়ায়। আবার অনেকে অন্যদের খুশি করার জন্য বানিয়ে বানিয়ে স্বপ্ন বর্ণনা করে।

অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো, কোনো ব্যক্তি নিজেকে তার পিতা ছাড়া অন্যের সন্তান বলে দাবি করা। যে স্বপ্ন সে দেখেনি তা বর্ণনা করা। আর রাসুলুল্লাহ (সা.) যা বলেননি, তা তার সম্পর্কে বলে বেড়ানো। ’ (বুখারি, হাদিস : ৩৫০৯) তাই সবার কাছে স্বপ্নের কথা বলে দেওয়া উচিত নয়।
ভালো স্বপ্ন দেখলে করণীয় : যদি কেউ ভালো স্বপ্ন দেখে, তাহলে তিনটি কাজ করবে—

এক. আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলবে।

দুই. এটা অন্যকে সুসংবাদ হিসেবে জানাবে।

তিন. স্বপ্ন এমন ব্যক্তিকে বলবে, যে তাকে ভালোবাসে। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা তার ভালো লাগে, তাহলে সে বুঝে নেবে, এটা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। সে এ স্বপ্নের জন্য আল্লাহর প্রশংসা করবে আর অন্যকে এ ব্যাপারে জানাবে। আর যদি এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে না, তাহলে বুঝে নেবে, এটা শয়তানের পক্ষ থেকে।

তখন সে এ স্বপ্নের ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং বাঁদিকে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবে। আর কাউকে এ স্বপ্নের কথা বলবে না। মনে রাখবে, এ স্বপ্ন তার ক্ষতি করতে পারবে না। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

খারাপ স্বপ্ন দেখলে করণীয় : যদি কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখে, তাহলে ভয়ের কিছু নেই। ভয়ের স্বপ্নে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই।

কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে এ কাজগুলো করবে—

এক. এই স্বপ্নের ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়বে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)

এক্ষেত্রে এই দোয়াও পড়া যায়: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি হাজিহির রুইয়া। ’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই স্বপ্নের অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ চাই।

দুই. বাম দিকে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)

তিন. যে কাতে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছেন, তা পরিবর্তন করে অন্য কাতে শুতে হবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)। অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।

চার. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলবেন না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবেন না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

পাঁচ. স্বপ্ন দেখার পর ঘুম ভেঙে গেলে উঠে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩)

মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।