১২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

উৎসবই মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বার্তায় তারেক রহমান

  • আপডেট: ০৪:২২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • 34

শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে তাদের সুখ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন তিনি।

শনিবার (১২ অক্টোবর) হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শরতে বাংলাদেশের চারদিকে কাশফুল ও শীতের আভাষ জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। কয়েক শতাব্দী ধরে উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারে গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।

তিনি আরও বলেন, উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসবের প্রাঙ্গণের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানবকল্যাণ। এক বর্বর হিংসা যুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভাষ্য, দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে– হিংসা, লোভ ও ক্রোধ রূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসবের পরিসর সংকীর্ণ নয়, বরং এটি উন্মুক্ত ও সর্বজনীন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উৎসবই মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বার্তায় তারেক রহমান

আপডেট: ০৪:২২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে তাদের সুখ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন তিনি।

শনিবার (১২ অক্টোবর) হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শরতে বাংলাদেশের চারদিকে কাশফুল ও শীতের আভাষ জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। কয়েক শতাব্দী ধরে উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারে গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।

তিনি আরও বলেন, উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসবের প্রাঙ্গণের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানবকল্যাণ। এক বর্বর হিংসা যুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভাষ্য, দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে– হিংসা, লোভ ও ক্রোধ রূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসবের পরিসর সংকীর্ণ নয়, বরং এটি উন্মুক্ত ও সর্বজনীন।