প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠকে দুদেশের মধ্য দ্বি-পাক্ষিক উন্নয়ন, বিভিন্ন সমস্যাবলী নিয়ে আলোচনা হয়। ।
বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্ক আরও কিভাবে গভীর করা যায়, দৃঢ় করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমস্যাগুলো রয়েছে আমরা সেগুলো তুলে ধরেছি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পানি সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা প্রয়োজন সেই কথাগুলো আমরা বলেছি। সেই সঙ্গে সিকিউরিটির (নিরাপত্তা) যে বিষয়টা আছে সেটাও নিয়ে কথা বলেছি। তারা (ভারতীয় হাইকমিশনার) বলেছেন যে, এই বিষয়গুলোতে তারা সজাগ। তারা চেষ্টা করছেন দ্রুততার সঙ্গে সেই সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের (ভারত) মূল বক্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চান। বিশেষ করে এই পরিবর্তনের পরে (ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতার পরিবর্তন) নতুন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে তাদের সঙ্গে তারা (ভারতীয় হাইকমিশনার) ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন, কথা বলেছেন। আমাদের সঙ্গেও তারা তাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক দৃঢ় করতে চান। এই সম্পর্কের মধ্যে কী করে আরও সুস্থতা, আরও পজেটিভিটি নিয়ে আসা যায় সেটা নিয়ে তারা কাজ করতে আগ্রহী।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও ভারতীয় উপ-হাইকমিশনার প্রভন বাধে।