০১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

৬৮৪০ টাকায় এক ইলিশ বিক্রি

  • আপডেট: ০৯:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • 39

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ২৮০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ। কুয়াকাটা মাছ বাজারে ইলিশটি ৬ হাজার ৮৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে বঙ্গোপসাগরের চর বিজয় সংলগ্ন হাইরের চর এলাকা থেকে আলমাছ খান মাঝি নামে এক জেলের জালে ইলিশটি ধরা পড়ে। পরে তিনি কুয়াকাটা বাজারে মনি ফিস মৎস্য আড়তে মাছটি নিয়ে আসেন। প্রথমেই ৪ হাজার টাকা দাম ওঠে। পরে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৮৪০ টাকায় ইলিশটি বিক্রি হয়।

জেলে আলমাছ মাঝি বলেন, সাগরে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে অল্প হলেও এখন জেলেদের জালে বড় আকারের ইলিশ বেশি পাওয়া যায়। এ বছর এত বড় মাছ এই এলাকায় আর কেউ পায়নি। গতকাল রাতে সাগরে জাল ফেললে এই মাছটি পাওয়া যায়, এ সময় আরও সামুদ্রিক অন্যান্য মাছও পাওয়া যায়। পরে কুয়াকাটা মাছ বাজারে আড়তে মাছটি ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

মনি ফিসের পরিচালক রুবেল ঘরামী বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় ভাসা জাল দিয়ে মাছ শিকার করা জেলে আলমাছ খান মাঝি কম বেশি বড় মাছ নিয়ে আসেন। এ রকম বড় সাইজের ইলিশ এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত আর ধরা পড়েনি। মাছটিতে ডিম হওয়ার কারণে তুলনামূলক দাম একটু কম হয়েছে। ডিম না হলে আরও বেশি দামে মাছটি বিক্রি হতো।

ডাকের মাধ্যমে মাছটি ক্রয় করা প্রতিষ্ঠান ফিস ভ্যালির পরিচালক মো. হাসান বলেন, আমরা এই বাজারে সচারাচর এত বড় ইলিশ পাই না। আজকে এক জেলে মাছটি মনি ফিস আড়তে নিয়ে আসলে আমরা ডাকের মাধ্যমে মাছটি ক্রয় করি। আশা করছি এটি ঢাকায় পাঠালে ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বড় ইলিশ জেলেদের জন্য সুখবর বয়ে আনে। এখন প্রায়ই গভীর সমুদ্রের পাশাপাশি উপকূলের জেলেরাও বড় ইলিশ পাচ্ছে। বছরে সরকারের দুইবার ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফল বলতে পারি এটা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

৬৮৪০ টাকায় এক ইলিশ বিক্রি

আপডেট: ০৯:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ২৮০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ। কুয়াকাটা মাছ বাজারে ইলিশটি ৬ হাজার ৮৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে বঙ্গোপসাগরের চর বিজয় সংলগ্ন হাইরের চর এলাকা থেকে আলমাছ খান মাঝি নামে এক জেলের জালে ইলিশটি ধরা পড়ে। পরে তিনি কুয়াকাটা বাজারে মনি ফিস মৎস্য আড়তে মাছটি নিয়ে আসেন। প্রথমেই ৪ হাজার টাকা দাম ওঠে। পরে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৮৪০ টাকায় ইলিশটি বিক্রি হয়।

জেলে আলমাছ মাঝি বলেন, সাগরে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে অল্প হলেও এখন জেলেদের জালে বড় আকারের ইলিশ বেশি পাওয়া যায়। এ বছর এত বড় মাছ এই এলাকায় আর কেউ পায়নি। গতকাল রাতে সাগরে জাল ফেললে এই মাছটি পাওয়া যায়, এ সময় আরও সামুদ্রিক অন্যান্য মাছও পাওয়া যায়। পরে কুয়াকাটা মাছ বাজারে আড়তে মাছটি ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

মনি ফিসের পরিচালক রুবেল ঘরামী বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় ভাসা জাল দিয়ে মাছ শিকার করা জেলে আলমাছ খান মাঝি কম বেশি বড় মাছ নিয়ে আসেন। এ রকম বড় সাইজের ইলিশ এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত আর ধরা পড়েনি। মাছটিতে ডিম হওয়ার কারণে তুলনামূলক দাম একটু কম হয়েছে। ডিম না হলে আরও বেশি দামে মাছটি বিক্রি হতো।

ডাকের মাধ্যমে মাছটি ক্রয় করা প্রতিষ্ঠান ফিস ভ্যালির পরিচালক মো. হাসান বলেন, আমরা এই বাজারে সচারাচর এত বড় ইলিশ পাই না। আজকে এক জেলে মাছটি মনি ফিস আড়তে নিয়ে আসলে আমরা ডাকের মাধ্যমে মাছটি ক্রয় করি। আশা করছি এটি ঢাকায় পাঠালে ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বড় ইলিশ জেলেদের জন্য সুখবর বয়ে আনে। এখন প্রায়ই গভীর সমুদ্রের পাশাপাশি উপকূলের জেলেরাও বড় ইলিশ পাচ্ছে। বছরে সরকারের দুইবার ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফল বলতে পারি এটা।